নদীর অ ব স

নদীর অ ব স

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বলেছেন, ‘জলই প্রকৃতির গাড়োয়ান’। আর পৃথিবীর ঊষালগ্ন থেকে সেই গাড়োয়ানের বাহন হিসেবে কাজ করছে নদী। নদীই পাহাড় থেকে সে জল বয়ে নিয়ে গেছে দেশ হতে দেশান্তরে। সময়ের পরিক্রমায় নদী হয়ে উঠেছে প্রকৃতি ও মানব সভ্যতার শ্বাস্বত ত্রাতা। নদী যে শুধুমাত্র একটি প্রবাহ নয়; সেটা আজ শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই  প্রক্রিয়ায় নদী মানুষের জীবনে নানা ভাবে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক, ব্যবহারিক ও সামাজিক — এই তিন উপায়ে।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদী সহজলভ্য ও সহজতর করেছে আমাদের যাতায়ত ও পন্য পরিবহণ। সমৃদ্ধ করেছে আমাদের অর্থনীতিকে। সুন্দর করেছে আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। আমাদের ব্যবহারিক জীবনে এনেছে বৈচিত্র। এক অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়ত ঘটিয়ে রঙিন করে তুলেছে আমাদের সংস্কৃতি ও আমাদের পারস্পারিক বন্ধন। ফলে, একটি সুন্দর সমাজ গঠনেও নদীর ভূমিকা অনন্য।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, উল্টো আমরা নদীকে সরিয়ে দিয়েছি আমাদের কাছ থেকে। মোহ ও অতিলোভ আমাদেরকে নদীর এই ত্রি-তন্ত্র থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। ফলে, মরে যাচ্ছে নদী। নদীর পরিবর্তে আমরা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি অন্যান্য ব্যবস্থার উপর। আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীটা হয়ে পড়ছে বসবাসের অযোগ্য। হারিয়ে যাচ্ছে জীব-বৈচিত্র। প্রাণের অস্তিত্ব। অথচ নদীই একমাত্র সহজলভ্য ও নিরাপদ উপায়।

প্রতি ২৪ ঘন্টায় আমরা ১৫০-২০০ ধরনের গাছ, পোকামাকড় পাখি ও জন্তু হারাচ্ছি। যার অধিকাংশ তাদের আবাসভূমি দখল ও দূষণের ফলে।

River 2

একসময়ে এদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০-১,০০০। এখন তার অর্ধেকেরও বেশি নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। দিনে দিনে যে হার জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। বেশি দিন নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময়ে বাংলাদেশের নদীর দূরত্ব ছিল ২৪,০০০ হাজার কিলোমিটার। দেশে উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা নদী মেরেছি। গত কয়েক দশকে আমরা কয়েক হাজার কিলোমিটার নদী হারিয়েছি।

বর্তমানের পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগের নাম জলবায়ু পরিবর্তন। যে ঝড়ে পৃথিবী আজ টালমাটাল। এসডিজি-এর ১৩ নম্বরে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রতিকারের উপায়। এই ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবেলায় নদী হতে পারে মহা এন্টিবায়োটিক।

সম্পূর্ণ ক্ষত সারানো সম্ভব না হলেও বেশ কিছুটা সম্ভব। আর তার জন্যেই প্রয়োজন নদীর অর্থনৈতিক, ব্যবহারিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন। এই তিন উপায়েই ফিরতে পারে নদী। আমরা যদি নদীকে এই তিন উপায়ে নিজেদের জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারি। আবার সব নদীতে ভাসবে পালতোলা নৌকা। সমৃদ্ধ হবে আমাদের পরিবেশ। ফুলে ফলে ভরে উঠবে এই প্রিয় প্রতিবেশ।

 

How to write for Web

How to write for Web

Writing for web is like sketching. Some meaningful sentences make a paragraph and some meaningful paragraphs usually form a good write-up. But Web writing? It is more than writing words — a pictogram.  It is all about visual presentation, rather than textual display. As a writing on a website is a matter of the visual world, writers need to be very careful about visual presentation of the text and very cautious about jugglery.

Thus, a writing for a website demands three Rs — readability, recognizability and reachability. These three make the writing pictographic. Also, on Web, keeping reader enthralled on your writing is the most challenging issue. If the readers do not find a write-up an easy-read, easy-recognisable and easy-reachable to the context, he will switch to another site. Thus, let readers have U-loops with more three — crispy, short and choppy version of your writing while they are scrolling through your piece.

Web writer requires two more things. Leave a hook at the beginning of the story and finishing taste at the bottom as the readers can have a complete message about what you wanted to tell them.