কবিতা
Corporeal Dreams (Poem)
Corporeal Dream-1
I dream I will be swimming into all ways of your life ocean
I will be flying in high, higher sky in search of you
Because I know the dark comes when you stop loving me
Because I know heart stops breathing when you don’t look back again
I hope I will die sipping the sip of poison that killed you
I will be holding your hand till you shake off
Because I die thousands times if you angry at me
When you do not let me hug you
I swear I will be following your shadow till sun shines, moon lights
I will be on your path until it ends
As I have no way to follow ahead
As I have no alternative to come back
————————————Written by Toriqul Islam (Borjaha)
Corporeal Dream -2
I dream one day all bullets will turn into buds of roses
All guns to kids’ toys
All bombs into flower bouquets
All N-shells into chocolate cages
All hate turn into love
All pains into soothing nap
All hearts are filled with love and love and love
—————————————-Written by Toriqul Islam (Borjaha)
বিক্রিত আমি
বিক্রি হবে
কেউ কী আছে কেনবার?
খুব সস্তায় ছেড়ে দেব
না না কোন শর্ত নেই
নিঃশর্তেই বেচে দেব
বাজারে যোগানের পরিমান যে হারে বাড়ছে
তাতে আর যাইহোক শর্ত চলেনা
কোন চিন্তা করবেন না
ইচ্ছামত খাটিয়ে নেবার স্বাধীনতা পাবেন
আছে ভেতরে ইচ্ছামত শোষিত হবার প্রাণশক্তি
আছে নির্বুদ্ধিতার চরম ও পরম সাধনা
বোধহীন, যুক্তিহীন, নির্লজ্জতা
সেটা আবার কী?
“একবিংশ শতাব্দির সবচেয়ে সস্তা পন্য । এক্তা ম্যাসিন কিনে কোটি টাকা দিয়ে, কিন্তু তার মূল্য ত্রিশ হাজার বা তার চেয়ে ধেড় কম,”এটুকুই আপাতত শুনে রাখুন
বলছি, একটু ধৈর্য ধরুন নাম সহ বলছি
হুলিয়া বর্ণনা শেষ হলেই বলছি
গুছিয়ে কথা বলতে পারে
গায়ের রঙ ফরসা
প্রয়োজন হলে ফ্রন্ট ডেস্কেও বসাতে পারবেন
লোকজন খাবে
না না তাতেও আপত্তি নেই শুধু আইডি কার্ডে পদটা চাই “এক্সিকিউটিভ”
এবার পরিচয়:
রাশি বৃশ্চিক
এম এ পাশ
সদ্য বেকার এবং খুতহীন বেকারাত্ব নিয়ে দাসত্যের জন্য অপেক্ষমান
এখনো কোন প্রভুর শোষনে দাগ পড়েনি
তাই বোধকরি শোষণের অধিকার প্রথম ক্রেতারই রইবে
ভেতরে স্বপ্ন আছে
না না ভয় পাবেন না
আপনি মিছে মিছিই ভয় পাচ্ছেন
আরে ওটাতেও তো “for sale” বার কোড আছে
আপনাকে শুধু সেটার পাঠোদ্ধার করে নিতে হবে; এই যা
আছে মাতৃকাতরতা
আছে পিছে তাদের কস্ট পাবার ভয়
আছে বোনের ভাইয়ের হাসিমুখ দেখার প্রবল আকাঙ্ক্ষা
তার জন্য বিশেষ কাতরতা
আর হ্যা, আরো কিছু গোপন কথা বলে দেই
যা আপনি শোষণের হাতিয়ার হিসেব কাযে লাগাতে পারবেন
চাকরি হারাবার জুজুরভয়
এই খড়গটা একবার মাথার ওপর ঝুলিয়ে দিলে
শুধু দিন কেন রাত অবধি অফিসেই বসে থাকবে
একটু যদি এদিক সেদিক হয়
টাকাটা একটু বাড়িতে দিতে পারেন
অথবা দিতে পারেন প্রমোশনের ভরসা
হলফ করে বলতে পারি, স্বপ্নগুলোও বিক্রি করে দিবে
সেগুলো কনভার্ট করে শুধু আপনার কাজের সাথে জুড়ে দিবেন
ব্যাস, আর কি লাগেঃ শুরু দাসত্বের পরিপূর্ণ যাত্রা
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়
এই হাত এই পা যদি আলাদা করে বিক্রি করা যেত
আগে তাই করতাম
সংসপ্তক হয়ে ত্যাগ করতাল এই প্রিথিবী–তাতেও শান্তি পেতাম
অন্তত মস্তিস্কটা বেচতে হতনা
কিন্তু স্যৃষ্টিতেই তো মহা গলদ — এক একটা মানুষ এক একটা প্যাকেজ প্রোডাক্ট
বেচতে হলে পুরটাই বেচতে হয়
আমার যৌন্তা, আমার প্রেম, আমার হাসি, আমার কান্না
সবই বিক্তি হয়ে যায় একসাথে
তবুও এবার ভাবছি বিক্রি করে দেব
হোকনা সেটা নামমাত্র মূল্য
ভাবছো আমার মস্তিক বৈকল্য ঘটেছে?
ভাবতে পারো–তাতেও আপত্তি নেই
কারণ, আমি ক্যামোফ্লেজ করতে জানিনে
আচ্ছা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে?
যে তুমি বিক্রি হওনি?
তুমি কর্পোরেট জবের নামে দাসত্ব করনি?
তোমার আবেগ বিক্রি হয়নি?
তোমার প্রেম ভালোবাসাকে অবহেলনি?
চিন্তাই পড়ে গেলে বুঝি?
ভেবোনা দাসের সমাজে স্বধীনতার অর্থ হয়না।
—-বোরজাহা
আমি বলছি তুমি ভুল
আমি বলছি তুমি ভুল
তুমি ভুল তুমি ভুল
এ শহরে পূর্ণীমার চাঁদ ওঠে বলে
এখানে কি অমাবস্যার অন্ধকার নেই?
এখানে কি জীবনের কৃষ্ণগহ্বর তৈরী হয় না?
এখানে কি কোন দীর্ঘশ্বাসের কানাগলিতে স্বপ্নের সলীল সমাধি হয় না?
এ শহরে লাল-নীল আলো জ্বলে বলে
এখানে কি জীবন সাদাকালো ছবি আঁকে না?
তুমি কি আজো ভাবো
আমার জানালার পর্দা গলিয়ে এখনো তোমার বসন্ত উকি দেয়?
তুমি কি আজো ভাবো এ শহরে কোটিকোটি মানুষ বিচরণ করে বলে
এখানে মনুষ্যত্বের অভাব পড়ে না?
এখানে কি জীবাত্মার বলি হয়না?
তুমি কি আজো ভাবো
দু হাত ও দু পা ওয়ালা প্রানীর পদচারণা মানেই সৌন্দর্যের প্রস্ফুটন?
তুমি কি আজো ভাবো
এখনো এখানে হাসনাহেনার গন্ধ হৃদয়ে প্রেম জাগায়?
তুমি কি আজো ভাবো
প্রাণের সমষ্টি নানেই প্রাণোচ্ছল কাব্য?
এ শহরে এমপ্লিফায়ারের উচ্চ নিনাদ বাজে বলে
এখানে কি বেহালার কান্না ঝরে না?
এখানে কি নান্দনীক স্বত্বার অকাল মৃত্যু বলে কিছু নেই?
তুমি কি আজো ভাবো
এ শহরের শরতের আকাশ আজো নীল সমুদ্রের হাতছানি দেয়?
এখনো এখানে শীতের শিশিরে সুখের পদ প্রকম্পিত হয়?
না
কিচ্ছুই হয় না আজ
আমি আবারো বলছি তুমি ভুল
তোমার চিন্তায় ভুল, মস্তিষ্কে ভুল
এখানে আর প্রাণের কাশফুল ফোটেনা
ধুধু মরুদ্যানে শুধুই মরিচীকার ভুল।
আমি আবারো বলছি তুমি ভুল তুমি ভুল।
–বোরজাহা
ঘৃণা হয়
আমারো আজ ঘৃণা হয়
প্রচণ্ড ঘৃণা
প্রচন্ড ক্রোধ জমে বুকের মাঝে
ঘৃণায়, অবজ্ঞায় ভরে উঠে মন
নিজেকে মানুষ বলতে আজ আমার ঘৃণা হয়
আজ প্রবল কান্না ভেঙ্গে আসে বুক-চোখ দিয়ে
প্রবল কষ্ট আঘাতে আমার অন্তর
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল শকুনের ধারারো নখে রক্তাক্ত
তরল রঞ্জন পদার্থে নেকড়েরা আজ নেশাগ্রস্থ
রক্তের গুমোট হাওয়া আমার নাসায়ন্দ্র আর নিতে পারছেনা
আর কত?
আর কত হিংস্রতায় ঘুম ভাঙ্গবে আমাদের?
আজ কত বীভৎসতায় তুমি জাগবে জনতা?
আর কত?
আজ ওরা, কাল আমি, পরশু তুমি বা অন্যকেউ
এভাবে আর কত?
এভাবে আর কত উগ্রতা মঞ্চস্থ হলে তোমার মৃত আত্মা জাগবে বাঙ্গালী?
আর কত বন্যতা পোষণ করলে মানুষ পরিচয়ে তোমার লজ্জা হয়?
আর কত পশুত্ব চর্চা হলে তোমার ঘৃণা হবে এই চার হাত-পা ওয়ালা প্রাণীর খোলস লাগাতে?
আর কত?
আরো পড়ুনঃ
এ জীবন চাইনি আমি
আমি আবার জন্ম নেব, আমাকে আবারো জন্ম দাও পিতা
আমি চড়ুই হব, বাবুই কিংবা গাঙ্গচিলের উড়াউড়ি
আমি হব কোন পাদদেশের ফুল অথবা তোমার গায়ের গন্ধ
এ জীবন চাইনি আমি
আমি হব মৃত্যু, গোবরে পোকার জীবন
হব মেঘ, হব জল; মিটাবো পিয়াসা
হব নেড়ে কুকুর, দেয়ালের জং; তবুও মানুষ নয়
এ জীবন চাইনি আমি
তিলোত্তমা, তুমিও কষ্ট দিলে?
তুমিও ভাঙ্গালে আমার নিদ
প্রিয়তমা; শুধু একটি শব্দের নাম
ওর সাথে মনের সম্পর্ক নেই মোটেই
এ জীবন চাইনি আমি
বঙ্গমাতা, তোমার শস্য ঘ্রাণে ভাঙ্গবেনা আমার ঘুম
হবেনা আমার প্রভাতফেরি
শিশিরের আদ্রতা আমায় ছোঁবে না মোটেও
এ জীবন আমার নয়
আমার মৃত্যু হয় রাজনীতি, আমার জীবন-নাটাই ব্যবসার পণ্য
ভালবাসার বদলে এখানে আমার অনুভূতি হয় আবেগের খেল
এ জীবন চাইনি মোটেও
এখানে বোধের মুল্য টাকার ভারে
মূল্যবোধ বিকনো বাজার দরে
এ জীবন চাইনি আমি
শব্দ লেখকঃ বোরজাহা